প্রত্যয় নিউজডেস্ক: বলিভিয়া কোচ ম্যাচের আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন-মেসিদের কলিজা খেয়ে দিতে চান। সেই হুমকির আঁচ কিছুটা যেন গায়ে লেগেও গিয়েছিল আর্জেন্টিনার। লা পাজে বলিভিয়ার বিপক্ষে প্রথম ৩০ মিনিট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না আকাশি-সাদা জার্সিধারীদের।
এমনকি প্রথমে গোলও হজম করে আর্জেন্টিনা। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। মঙ্গলবার রাতে বলিভিয়া-হুমকি উড়িয়ে ম্যাচটি তারা জিতেছে ২-১ গোলে।
লা পাজ বরাবরই দুঃস্বপ্নের এক নাম আর্জেন্টিনার জন্য। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এরনান্দো সাইলসে খেলা তো এত সহজ ব্যাপার নয়। এর আগে এই মাঠে বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের ইতিহাস আছে আর্জেন্টিনার।
জয়ের দেখা পেয়েছিল সেই ২০০৫ সালে, প্রায় ১৫ বছর আগে। ২০১৩ সালে তো সেখানে খেলতে গিয়ে বমি করেছিলেন মেসি, বাড়তি অক্সিজেন দিতে হয়েছিল অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে। এমন এক ম্যাচের আগে বলিভিয়া বড় গলায় কথা বলতেই পারে।
তবে তাদের সেই গলার জোর টিকল না আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে। বরং দম জমিয়ে রেখে দারুণ কৌশলী টেকনিক আর বুদ্ধিমত্তায় শেষ হাসিটা হাসলো লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরাই।
প্রথম আধা ঘন্টায় দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্জেন্টিনাকে কোণঠাসা রেখেছিল বলিভিয়া। ম্যাচের ২৪ মিনিটে তারা এগিয়েও যায়। আলেহান্দ্রো সাউলের চমৎকার ক্রসে জাল খুঁজে নেন মার্সেলো মার্তিন্স।
তবে গোল হজম করে আর্জেন্টিনা একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। ৩৯ মিনিটে মেসির দূর থেকে নেয়া বাঁ পায়ের শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটেই পারদেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
আলবিসেলেস্তেদের এই আক্রমণের সুফল মেলে সৌভাগ্যের এক গোলে। বাঁ দিক থেকে মার্তিনেস বল বাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন ওকাম্পোসের দিকে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার সেটি ক্লিয়ার করতে গেলে ফের মার্তিনেসের পায়ে লেগে গোল হয়ে যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটি আরও জমে উঠে। ৭৫তম মিনিটে মেসির পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেযে গিয়েছিলেন মার্তিনেস। কিন্তু তার দ্বিতীয় গোল পাওয়ার চেষ্টা এক হাতে ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়া গোলরক্ষক।
এর চার মিনিট পরই জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ রক্ষণের ভুলে বল পেয়েছিলেন মেসি। তিনি বল বাড়িয়ে দেন মার্তিনেসকে। মার্তিনেস বুদ্ধি করে বদলি খেলোয়াড় কোররেয়াকে দিলে, বাঁ প্রান্ত থেকে বুলেট গতির এক শটে জাল কাপাঁন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়। প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির দল ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইকুয়েডরকে।